পায়ে হেঁটে বাড়িতে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিলেন খাতা ,পেন্সিল : শিক্ষকের উদ‍্যোগ শিক্ষক দিবসে

5th September 2020 2:36 pm বর্ধমান
পায়ে হেঁটে বাড়িতে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিলেন খাতা ,পেন্সিল : শিক্ষকের উদ‍্যোগ শিক্ষক দিবসে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : আজ ৫ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস, প্রতিবছর সাড়ম্বরে এই দিনটি পালিত হয় । তবে করোনা অতিমারির কারণে এ বছর তা হচ্ছে না । বন্ধ রয়েছে স্কুল প্রাইভেট টিউশন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি । তবে কোথাও কোথাও তা পালিত হচ্ছে সতর্কতার সাথে । যেমন শনিবার শিক্ষক দিবসে এক অভিনব ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেল পাণ্ডবেশ্বর নবগ্রাম এলাকায় । সাধারণত শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠান পালিত হয় ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যোগে । কিন্তু এখানে উদ্যোক্তা স্বয়ং স্কুলের প্রধান শিক্ষক- ই । স্থানীয় নবগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন অরুণ কুমার দাঁ । আজ শিক্ষক দিবসের দিন তিনি নিজে পায়ে হেঁটে পৌঁছে যান এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি । নিজের উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেন খাতা পেন্সিল সহ পড়াশুনোর উপহার । বাড়িতে বসেই উপহার পেয়ে স্বভাবতই খুশি খুদে পড়ুয়ারা । শিক্ষকের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান অভিভাবকরাও । স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তথা এলাকার বাসিন্দা শেখ আলাউদ্দিন জানান অরুণ বাবুর আমলে স্কুলটির প্রভূত উন্নতি হয়েছে । স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে শিক্ষার মান ও । তিনি বলেন অরুণ বাবু সর্বদাই স্কুলের উন্নতির ব্যাপারে অভিনব চিন্তাভাবনা করেন এবং সেগুলি কে বাস্তবায়িত করে দেখান তিনি । অন্যদিকে অরুণ বাবু জানান শিক্ষক দিবস সাধারণত পালিত হয় ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যোগে । করোনা অতিমারির কারণে এবার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে , তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে কিছু উপহার তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । তবে এই উদ্যোগের আসল উদ্দেশ্য হলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের কাছে খোঁজ নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি তে নিয়মিত পড়াশোনা করছে কিনা । অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার উপর নজর রাখছে কিনা সেটাও দেখার উদ্দেশ্য ছিল । দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রয়েছে বাড়িতে নিয়মিত পড়াশোনা না করলে স্কুল ছুটের সম্ভাবনা বাড়তে পারে । তা আটকাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন । এসব কারণেই আজকের এই উদ্যোগ বলে জানান অরুণ বাবু ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।